আলবার্ট আইনস্টাইন, বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক বিস্ময়কর নাম, যিনি বিশ্ববাসীকে তাঁর অসাধারণ চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছেন। ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানির উলম শহরে জন্মগ্রহণ করা এই মহান বিজ্ঞানী আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাহলে চুলুন, জেনে নেই আলবার্ট আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত জীবন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তার অবদান।
আইনস্টাইনের শৈশব কাটে মিউনিখ শহরে। ছোটবেলায় তিনি খুব বেশি মেধাবী ছিলেন না বলে অনেকেই মনে করতেন, কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ছিল অসীম কৌতূহল। তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেই গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন।
আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে তাঁর যুগান্তকারী আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব (Special Theory of Relativity) প্রকাশ করেন, যেখানে তাঁর বিখ্যাত সমীকরণ **E=mc²** বিশ্বের বিজ্ঞানীদের চিন্তাভাবনায় বিপ্লব ঘটায়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, শক্তি ও ভরের মধ্যে একটি সরল সম্পর্ক বিদ্যমান। পরবর্তীকালে ১৯১৫ সালে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (General Theory of Relativity) প্রকাশ করেন, যা মহাকর্ষ সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয় এবং মহাবিশ্বের অনেক জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়।
📷 © Image Source: EWT
১৯২১ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, তবে এটি আপেক্ষিকতার তত্ত্বের জন্য নয়, বরং ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট (Photoelectric Effect) ব্যাখ্যা করার জন্য। তাঁর এই গবেষণাই পরবর্তী সময়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
📷 © Image Source: Wikipedia
১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল এই মহান বিজ্ঞানী পরলোকগমন করেন। কিন্তু তাঁর চিন্তাভাবনা ও আবিষ্কার আজও
বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
আলবার্ট আইনস্টাইন এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি শুধু বিজ্ঞানের জগতে নয়, বরং মানবতার ইতিহাসেও
চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর আবিষ্কার ও দর্শন আমাদের চিন্তার জগতকে প্রসারিত করেছে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের
জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
📷 © Image Source: PICRYL